দেশের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই দ্বীপের পশ্চিম উপকূল ঘেঁষে প্রায় ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সমূদ্র সৈকত। লবণ শিল্পের জন্য প্রসিদ্ধ এ কুতুবদিয়ায় জীব বৈচিত্র্যের পাশাপাশি রয়েছে ঐতিহাসিক বাতিঘর, প্রাচীন স্থাপত্য কালারমার মসজিদ, বিশাল মৎস্য ভান্ডার। এছাড়াও রয়েছে দেশের প্রথম বায়ু বিদ্যুৎ পাইলট প্রকল্প। দৃষ্টিনন্দন সারি সারি ঝাউ বাগান ঘেরা এই দ্বীপে সম্প্রতি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের কথা জানিয়েছে পেট্রোবাংলা।
দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সেন্টমার্টিনের তুলনায় কুতুবদিয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের দিক দিয়ে কোন অংশেই কম নয়। সমূদ্র বেষ্টিত ৬ ইউনিয়ন বিশিষ্ট কুতুবদিয়া দ্বীপের পশ্চিমে রয়েছে ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সমূদ্র সৈকত। দ্বীপের পূর্বে চ্যানেল সংলগ্ন কুতুব আউলিয়ার সুযোগ্য উত্তরসুরি হযরত শাহ আবদুল মালেক আল কুতুবী (রহঃ) এর মাজার শরীফ। মাজারের পূর্বদিকে বিসিক’র বিশাল লবণ উৎপাদন প্রদর্শনী খামার। লবণ মৌসুমে প্রতিদিন দেশী-বিদেশী, গবেষক, প্রযুক্তিবিদ ও কবি লেখক লবণ উৎপাদন প্রক্রিয়া স্ব-চোখে দেখতে আসেন। নগর জীবনের কর্মব্যস্থতার ফাঁকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের রানী কুতুবদিয়ায় ভ্রমণে আসলে নিঃসন্দেহে মন প্রাণ জুড়িয়ে যাবে। দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে গাড়িযোগে সোজা কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ঘাটে এসে কুতুবদিয়া চ্যানেল পার হতে সময় লাগে স্পীড বোটে ৭মিনিট এবং ডেনিশ বোটে ২৫মিনিট।
এ দ্বীপে পর্যটকদের জন্য রয়েছে চলাফেরার যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা। এছাড়াও থাকার জন্য জেলা পরিষদের একটি ডাকবাংলো এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল রয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস